অনিকেত মৃণালকান্তি
শহরতলিতে অকস্মাৎ টোলপ্লাজা খোলা হলে আজকাল এমন ঘটেছিল…
অবকাশে ফেউ এসে জোটে।এই সত্যে বিশ্বাসী জৈনক প্রাক্তন নিষিদ্ধ অষুধ বিক্রেতা,ছন্দজ্ঞানহীন কবিতালেখক,পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামের বাজার চলতি কথাশিল্পী টোলপ্লাজাকে বারবার প্রদক্ষিণ করতে লাগলেন প্রায় অবিশ্বাস্য দক্ষতায়।
আসার পথে,যাওয়ার পথে,এমন করে বারবার আসতে আসতে যেতে যেতে প্লাজায় এসব অপরাধপ্রবণ খুচকর পাবলিক টোল দিয়ে আনুগত্য প্রদর্শন বজায় রাখতে লাগলেন।
রাজার জমিতে নাড়া বাঁধা তাদের বুদ্ধ-যিশু চোখে আমাকে দেখে দেখি দ্রবিভূত মায়া।
নেতার নকলে বক্ষবন্ধনী ঝুলিয়ে ভুল বানান ও উচ্চারণে খবর পরিবেশন করা লোক্যাল চ্যানেলে উচ্চস্বরে আনুগত্য ও টোলপ্লাজার প্রয়োজনীয়তা তথা কালেকশানের অমিত সম্ভাবনা ও বাস্তবের কথা ঘোষণা করে পুরোনো জামগাছের মতো বাকানো নিম্নপ্রদেশে হাত বুলাতে বুলাতে চোয়া ঢেকুর তুলিতে লাগিলেন।
মেধায় সিলিফিস নিয়ে খারাপ জিনসমূহ তাদের বাড়ি গাড়ি স্যাটিসফ্যাকশন সংক্রান্ত হতাশা নিয়ে অনবরত ধার করা বুদ্ধি ও নাপাক অর্থে টোল বৃদ্ধি করার মর্ষকাম খেলা খেলে ভাবে কেমন দিলাম আজ,কেমন দিলাম।
প্রভো,ওরাই তো গরীবের দোহাই দিয়ে টোলের বিরোধিতা করেছিল।
একজন তরুণ কবি শুধু সততার অলৌকিক রাতে ঘর থেকে আচ্ছন্ন বেরিয়ে এসে এই প্লাজার গায়ে লাল চকখড়ি দিয়ে লিখে রাখে…
‘চরিত্রহীনদের এই পথে আগমন ও প্রস্থান নিষেধ’
Leave a Reply